লালমনিরহাটে স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
০৬ জুন ২০২৪

 লালমনিরহাটের আদিতমারীতে একটি ডোবা থেকে ফাহিম ফরহাদ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ বৃহস্পতিবার বিকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলা কাটা ছিল, লাশটি বস্তায় ভর্তি ছিল। ঘটনায় জড়িত মধু রায় (১৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ফাহিম ফরহাদ আরাজি দেওডোবা এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে। সে একই এলাকার ওসমান গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

গ্রেফতার মধু রায় রুহানীনগর এলাকার সুবাষ রায়ের ছেলে। পুরাতন মোটরসাইকেলে কেনার লেনদেন নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে মধু দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফাহিমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পুরাতন মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে মধু রায় ফরহাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। এরপর থেকে তারা একে অপরের সাথে ঘোরাফেরা নেশা সেবন করতো। মঙ্গলবার বিকালে তারা মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। ঘোরাঘুরি শেষে রাতে মধু রায়কে বাড়িতে নামিয়ে দিতে যায় ফাহিম। সেখানে তাদের বাড়ির পাশে নির্জন জায়গায় নেশা সেবন করে তারা।  এ সময়  মোটরসাইকেলটির টাকা লেনদেন নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে দা দিয়ে ফাহিমের কাঁধে কোপ দেয়  মারে মধু। এতে সেখানেই ভুক্তভোগী মারা যায়। এরপর লাশ বস্তায় ভরে ধান ক্ষেত দিয়ে টেনে নিয়ে পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়।

এদিকে ফাহিমের  খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার পরিবার বুধবার থানায় জিডি করে। সে জিডির তদন্তের এক পর্যায়ে মধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফাহিমের লাশ উদ্ধার করা হয় ও মধুর বাড়ির ধানের ডোল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে।

এদিকে ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতা মধুকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

 

পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ফরহাদকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায়  দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ও লাশ নালায় ফেলে দেওয়া কথা স্বীকার করেছে  মধু চন্দ্র। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তদন্ত করা হচ্ছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/লাজু মিয়া/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর