কর দিয়ে বৈধ করলে প্রশ্ন থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ মে ২০২৪

অপ্রদর্শিত অর্থকে অর্থনীতির মূলধারায় আনতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ জন্য আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে পুরোনো আয়কর আইনের ১৯  ধারা বর্তমান আইনে অন্তর্ভুক্তের উদ্যোগ নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর। এতে কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করলে সরকারের অন্য কোনো সংস্থা আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না। কালোটাকা সাদা করার এ উদ্যোগকে বৈষম্যমূলক অযৌক্তিক বলে মনে করছেন অনেকেই।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা (অপ্রদর্শিত আয়) বৈধ করার সুযোগ রাখা হতে পারে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ শতাংশ কর পরিশোধে এ সুযোগ রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি সাড়ে শতাংশ কর দিয়ে বিদেশ থেকে অঘোষিত অর্থ দেশে আনার সুযোগ সে অর্থবছরে দেওয়া হয়েছিল।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, সরকারের দেওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১১ হাজার ৮৩৯ জন ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বৈধ করে নেন। এতে   হাজার ৬৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়।  এ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

আয়কর আইন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর দিয়ে এর সঙ্গে ওই করের ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে যে কোনো করদাতা কালোটাকা সাদা করার সুযোগ পান। এর বাইরে প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে আয়তনের ওপর নির্ধারিত কর পরিশোধ করেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট যে কোনো সংস্থার পরবর্তীতে ওই টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে। এতে খুব একটা অর্থ মূলধারার অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

 

এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল বা হাইটেক পার্কে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগে অ্যামনেস্টি (দায়মুক্তি) পান বিনিয়োগকারীরা। তবে সামনের বাজেটে অর্থনৈতিক অঞ্চল হাইটেক পার্কে প্রশ্নহীনভাবে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। কেননা এ সুযোগ দিলেও এতোদিনে বিনিয়োগ তেমন  বাড়েনি।

এদিকে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধীতাকাদের অনেকের মতে, এ সুযোগ দেওয়া হলে নিয়মিত করদাতাদের ওপর অন্যায্য সিদ্ধান্ত হবে। কেননা নিয়ম সাধারণ করদাতাদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। পক্ষান্তরে নতুন অর্থবছরে কর ফাঁকি দেওয়া কিংবা চুরি করা অর্থ ফেরত যারা আনবে তারা কর দিবে মাত্র ১৫ শতাংশ।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর