কাজ না পাওয়ায় বিএমডিএ’র পিডির কলার ধরলেন ঠিকাদার

মানিক হোসেন, রাজশাহী
২৮ এপ্রিল ২০২৪

কাজ না পাওয়ায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ)  প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাকের  শার্টের কলার চেপে ধরে লাঞ্ছিত করেছেন স্থানীয়  এক ঠিকাদার।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীতে বরেন্দ্র ভবনে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদার সামনে তার কক্ষেই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পে ৫০টি কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রতিটি কাজই ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার। এসব কাজের একটিও রাজশাহীর কোনো ঠিকাদার পায়নি। কাজ দেওয়া হয়েছে নাটোর, নওগাঁ ঈশ্বরদীর ঠিকাদারদের।

এদিকে সুমন্ত কুমার বসাক রোববার অফিসে আসার পরে ঠিকাদাররাও বরেন্দ্র ভবনে যান। তখন সুমন্ত কুমার বসাক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদার কক্ষে ঠিকাদারদের নিয়ে বসেন। সেখানে ঠিকাদার সাকির হোসেন ওরফে লস্কর বাবুর সঙ্গে এ নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে পাশে বসে থাকা স্থানীয় ঠিকাদার মো. রাসেল সুমন্ত কুমার বসাকের শার্টের কলার চেপে ধরেন। নিয়ে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ঠিকাদার মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বিএমডিএর ঠিকাদার মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন ওরফে লস্কর বাবু বলেন, ‘লাঞ্ছিত করার মতো কোন ঘটনা না। একটু উচ্চবাচ্য হয়েছে।

 

তিনি বলেন, পিডি রাজশাহীর ঠিকাদারদের কোন কাজ দেননি। সব কাজ দিয়েছেন বাইরের ঠিকাদারদের। ফলে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে হতাশা আছে। এর জের ধরেই ঘটনাটা ঘটেছে। পরে এর সমাধান হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

কথা বলার জন্য পিডি সুমন্ত কুমার বসাককে একাধিকবার ফোন  দিলেও তিনি ফোন না ধরে কেটে দিয়েছেন। বিএমডিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা বলেন, আমার রুমে সবাই বসেছিলেন। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হঠাৎ রাসেল পিডির শার্টের কলার চেপে ধরেন। বিষয়টা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ বলেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিষয়টা আমাকে জানিয়েছেন। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর