রমজানের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে সুবাতাস লাগে। ঈদের আগে রপ্তানি আয়ও কিছুটা বেড়েছে। ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। ঈদের ছুটির আগে গত ৮ এপ্রিলের হিসাবে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৭ মার্চ দেশে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৮১ কোটি ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন)। গেল ৮ এপ্রিল বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন)।
এদিকে গ্রস ও বিপিএম-৬ এর বাইরেও রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটা হিসাব থেকে- নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ। এ হিসাব শুধু আইএমএফকে দেওয়া হলেও কখানো প্রকাশ করা হয় না। দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের শুরুতে দেশে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক এই রিজার্ভ। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ ধরলে, বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো বাংলাদেশের জন্য কিছুটা কষ্টসাধ্য বলেও মনে করছেন অনেকে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে