পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়া দুই হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ফের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ৭০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে তাদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। লেখাপড়া ধরে রাখতে সহায়তা হিসেবে শিক্ষা উপকরণ- বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম কমার পাশাপাশি ও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তারা মুক্তি পাবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় উপজেলায় ঝরে পড়া ৮ থেকে ১৪ বছরের এসব শিশুকে ২০২১ সালের শেষের দিকে ৭০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। প্রকল্পটি আরডিআরএস- এর সহযোগী রিচিং পিপলস ইন নীড (আরপিএন) বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। বিদ্যালয়ের পুরো কার্যক্রম তদারকির জন্যও রয়েছে সুপার ভাইজার।
সম্প্রতি চুচুলি শিখন কেন্দ্র,উত্তর সুখ্যাতি শিখন কেন্দ্রে,ছোটদাপ,রসেয়া, কিসমতদাপ,দক্ষিন চামেশ্বরী শিখন কেন্দ্রে দেখা গেছে- শিশুদেরকে মাতৃস্নেহে পাঠদান, খেলাধুলা, গান-বাজনা শিখানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি পেয়ে খুশি তারা।
চুচুলি এলাকার স্থানীয় আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শিখন কেন্দ্রটি হওয়ায় এখানে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
উত্তর সুখ্যাতি এলাকার মোছা.আনজু বেগম ও সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের ছেলে এ শিখন কেন্দ্রে পড়ালেখা করছে। আগে তো স্কুল বাদ দিয়েছিল। এখন মোটামুটি ভালই পড়তে শিখেছে।
চুচুলী উপানুষ্ঠানিক শিখন কেন্দ্রের শিক্ষিকা মোছা.শিউলি বেগম লাভলী জানান,যে সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না, তারা এ বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে।
রিচিং পিপলস ইন নীড (আরপিএন) আটোয়ারী উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছা.নাজমা বেগম জানান, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও স্কুল পরিচালনায় কারিগরি সহায়তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাদান করা হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করানো হবে ।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে