স্বপ্নের পরিচর্যা নিয়ে ভাঙ্গুড়ার বোরো চাষীদের ব্যস্ততা

মনিরুজ্জামান ফারুক, ভাঙ্গুড়া
২৩ মার্চ ২০২৪

 

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিস্তৃর্ণ আবাদি মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। বোরো ধানের চারা রোপণ শেষে এখন সার-কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার করছেন তারা। ঋণ শোধ, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও সংসার খরচ, অনুষ্ঠানাদি সম্পন্নসহ নানা বিষয়ে স্বপ্ন দেখছেন এ আবাদ ঘিরে।  

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, ধানের দাম ভালো পাওয়ায়  কৃষক এ বছর বোরো আবাদের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, পৌরসভা ইউনিয়ন মিলে হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে, আবাদকৃত জমির পরিমাণ হাজার ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে আধুনিক লোগো পদ্ধতিতে আবাদ হয়েছে হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শওকত জামিল বলেন,'এখানকার চাষীরা ব্রি-২৯,ব্রি-৮৯,ব্রি-৯২,বঙ্গবন্ধু-১০০,বিনা-২০ প্রভৃতি জাতের ধানের আবাদ করেছেন। প্রতিবছরের মতো এবারও ধানের আবাদ বেশি হয়েছে উপজেলার খানমরিচ দিলপাশার ইউনিয়নে।’

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের চাষী খায়রুল ইসলাম মোল্লা জানান, 'গত বছর বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলাম।এ বছর ১৩ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ ব্রি-৮৯ জাতের ধান আবাদ করেছি। এখন খেতে সার-কীটনাশক ছিটানো আগাছা পরিষ্কার শুরু করেছি।'

বড়পুকুরিয়া গ্রামের মেহেদী হাসান রানা জানান,' বছর প্রায় বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের ধানের চারা রোপণ শেষ করেছি। এখন খেতের আগাছা পরিষ্কার রোগ প্রতিরোধে খেতে কীটনাশক প্রয়োগ করছি।আশা করছি ফলন ভালো পাবো।'

উত্তর কলকতি দরিপাড়া গ্রামের কুরবান আলী মোল্লা জানান, এবার সাড়ে বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছি। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে লোগো পদ্ধতিতে আড়াই বিঘা জমিতে ধান লাগানো হয়েছে।'

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান  বলেন, ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি অফিস থেকে চাষীদের নানা রকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর