বেগুনের কেজি ২ টাকা, তারপরও ক্রেতা নেই!

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
১৬ মার্চ ২০২৪

নাটোরের গুরুদাসপুরে অস্বাভাবিকভাবে কমেছে বেগুনের দাম। পাইকারি ২ টাকা এবং খুচরা টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে এ সবজি। শনিবার (১৬ মার্চ) উপজেলার সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজারের মোকাম চাঁচকৈড় হাটে চিত্র দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য বলছে, এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি বেগুনের দাম ছিল খুচরায় ২০ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে  চাহিদা কমে যাওয়ায় হঠাৎ এ দরপতন ঘটেছে। এতে অসন্তোষ বিরাজ করছে চাষীদের মাঝে।

চাঁচকৈড় হাটের সবজি ক্রেতা মকছেদ আলী জানান, সকালে বাজারে গিয়ে দেখি- বেগুনের দাম অস্বাভাবিক কম। মাঝারি মানের এক বস্তা (৪০ কেজি) বেগুন কিনেছি ৫০ টাকায়। কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি তিনি।

একই হাটে বেগুন বিক্রি করতে এসেছেন আনন্দনগর মহল্লার বেগুন চাষী গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, হাটে মণ বেগুন বিক্রি করতে এসেছিলাম। আড়ৎগুলোতে দাম কম দেখে, খুচরা এক মণ বিক্রি করেছি ১শ টাকায়। অবশিষ্ট একবস্তা বাসায় ফিরিয়ে এনেছি। সেগুলো গ্রামের মাদ্রাসায় এতিম শিক্ষার্থীদের খাবার জন্য দান করেছি।

তিনি আরও জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। তার মতো সব চাষীই রমজান মাসকে সামনে রেখে আবাদ করেছেন। আমদানি বেড়েছে, তাই দামও কম। খরচ না ওঠায় হতাশ তিনি।

বেগুন চাষী ছাবলু প্রামানিক বলেন, এক বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করতে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। দাম কম বলে ক্ষেতের বেগুন ক্ষেতেই রেখেছি। লাভ তো দূরের কথা, হাটে বেগুন নিয়ে আসার খরচ (ভ্যান ভাড়াও) উঠছে না এখন।

চাঁচকৈড় হাটের মেহেদী আড়তের কর্নধার শাহিনুর শেখ জানান, সকালে তার আড়তে ৫০ কেজি ওজনের ২শ বস্তা বেগুন এসেছে। প্রচুর আমদানি হলেও  পাইকার খুবই কম। কারকেণ প্রতিবস্তা বেগুন ৬০ টাকা থেকে ১শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশীদ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণে চাষিরা নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এলাকায় বেগুন সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় এসব বেগুন সংরক্ষণেরও সুযোগ নেই।

 

বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর