ইউক্রেন সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে নেটো

২৫ মার্চ ২০২২

ইউক্রেন রুশ সামরিক অভিযানের ঠিক এক মাসের মাথায় নেটো সামরিক জোটের নেতারা ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার শীর্ষ বৈঠকে পূর্ব ইউরোপে জোটের দেশগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

বৈঠকের পর জোটের মহাসচিব ইয়েন স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে ৪০,০০০ অতিরিক্ত নেটো সৈন্য পাঠানো হবে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ায় নেটো সেনা বহর মোতায়েন করা হবে।

 

ইউক্রেনে সেনা হামলার পেছনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রধান তাড়না ছিল নেটো জোটকে একটি বার্তা দেওয়া যে পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার দোরগোড়ায় নেটো জোটের সম্প্রসারণ, সামরিক তৎপরতা তিনি আর বরদাস্ত করবেন না।

 

কিন্তু পূর্ব ইউরোপে আরো ৪০ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট কার্যত জানিয়ে দিল তারা পুতিনের দাবির কোনো তোয়াক্কা করছে না।

 

স্টলটেনবার্গ বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের জন্য নেটো প্রস্তুত।

 

বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর নেটো জোটের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয় ইউরোপে এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সঙ্কট মোকাবেলায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

নেটো মহাসচিব বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর ইউরোপে নিরাপত্তার মানচিত্র আমূল বদলে গেছে।

 

 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পশ্চিমা নেতাদের এ বৈঠকে কিয়েভ থেকে ভিডিও লিংকে বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে তিনি নেটোর কাছ থেকে 'অবাধ সামরিক সাহায্য' দাবি করেন। আবারো ইউক্রেনে 'নো ফ্লাই জোন' ঘোষণার দাবি না করলেও জেলেনস্কি যুদ্ধ বিমান ও ট্যাংক চেয়েছেন।

 

নেটো ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান ও ট্যাংক দেবে কিনা- এ প্রশ্নে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান নেটো মহাসচিব। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে সাহায্য দিয়ে যাবে নেটো।

 

রাশিয়ার কাছ থেকে সাইবার হামলা ও সম্ভাব্য রাসায়নিক-জীবাণু এবং পারমানবিক হামলার বিরুদ্ধেও ইউক্রেনকে সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে নেটোর বৈঠকে।

 

স্টলটেনবার্গ বলেন, "রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার লড়াইয়ের প্রকৃতি পুরোপুরি বদলে দেবে। রাশিয়া সেটা করলে তা আন্তর্জাতিক আইনের চরম ব্যত্যয় হবে, এবং তার পরিণতি হবে সুদূরপ্রসারী এবং ব্যাপক।"

 

স্টলটেনবার্গ বলেন, মস্কো এখন যেভাবে ইউক্রেন এবং তার মিত্র দেশগুলোর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অভিযুক্ত করছে তা উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, এ অভিযোগ তুলে রাশিয়া আসলে তেমন অস্ত্র প্রয়োগের জন্য যুক্তি তৈরি করছে।

 

রাশিয়াকে আর্থিক বা সামরিক সহযোগিতা না দেওয়ার জন্যে নেটোর পক্ষ থেকে চীনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।


মন্তব্য
জেলার খবর