২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জলবায়ু অর্থায়নে জাতীয় তহবিলের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে ৮৯১টি প্রকল্পে হওয়া দুর্নীতির প্রাক্কলিত পরিমাণ  প্রায় হাজার ১১০ দশমিক কোটি টাকার সমান। ট্রাস্টি বোর্ড কারিগরি কমিটির সদস্যদের যোগসাজশে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প অনুমোদনের প্রবণতা  লক্ষ্য করা গেছে। অথচ এসব অনিয়ম প্রতিরোধে  তহবিল ব্যবস্থাপক হিসেবে বিসিসিটির কর্মকর্তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রভাবশালীরা অর্থ লুটপাট করেছে। জবাবদিহিতা ও সুশাসনের ঘাটতি, রাজনৈতিক প্রভাব, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর অদক্ষতা অনিয়মের কারণে দুর্নীতি হয়েছে।

মঙ্গলবার ( নভেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ঢাকায় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। টিআইবি জানায়, এ ১৪ বছরে বিসিসিটি থেকে মোট ৪৫৮ দশমিক মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশের প্রতিবছরে  ১২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার দরকার হয় জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায়। কিন্তু ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে জাতীয় আন্তর্জাতিক তহবিল মিলিয়ে বছরে গড় বরাদ্দের পরিমাণ ৮৬ দশমিক মিলিয়ন ডলার। এ অর্থ  প্রয়োজনের মাত্র শূন্য দশমিক শতাংশ।

সংস্থাটি জানায়, প্রতিবছর জাতীয় তহবিল থেকে বরাদ্দ গড়ে দশমিক শতাংশ হ্রাস পাচ্ছে। যদিও আন্তর্জাতিক তহবিলের বরাদ্দ ৪৩ দশমিক শতাংশ বেড়েছে। তবে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত।

বিগত ১৪ বছরে ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির (৬১ দশমিক শতাংশ) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গড়ে প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বেড়ে হাজার ৫১৫ দিন করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বছরের মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৪ বছর পর্যন্ত সময় লেগে গেছে।

আন্তর্জাতিক তহবিলের প্রকল্পেও বিলম্বের চিত্র উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে- ৫১টি প্রকল্পের মধ্যে ২১টির (৪১ দশমিক শতাংশ) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গড়ে মেয়াদ হাজার ৯৫৮ দিন থেকে বেড়ে হাজার ৯৭৮ দিনে দাঁড়িয়েছে।

দেশে প্রতি বছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে মাত্র দশমিক বিলিয়ন ডলার  পাওয়া গেছে বলেও জানায় টিআইবি।  

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর