ইউরোপের দেশ বৃটেন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। তার পরই ফ্রান্স। নতুন করে ফের সংক্রমণের গতি বেড়েছে। অবস্থা দেখে আগেই সরকার ঘোষণা করেছিল খুব শীঘ্রই এক লক্ষ ছাড়াবে দৈনিক সংক্রমণ। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই মাত্র দু’দিনের ব্যবধানেই দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স। একদিনে দেশটিতে এক লক্ষের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এক লক্ষ চার হাজার ৬১১ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে টানা তিন দিন দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করল ফ্রান্স। ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে ফ্রান্স, বৃটেনসহ ইউরোপের দেশগুলিতে। কোভিডের এই নতুন রূপের প্রভাবে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ফ্রান্স।
দেশটিতে ইতোমধ্যে পূর্ণবয়স্কদের বুস্টার টিকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সরকার থেকে ‘ভ্যাকসিন পাস’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পাস তারাই পাবে, যারা দু’টি টিকাই নিয়েছেন। রেস্তরাঁ, ক্যাফে বা বিদেশ ভ্রমণের জন্য এই পাস থাকা বাধ্যতামূলক। দু’টি টিকা নেওয়া না থাকলে, বহু জায়গাতেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বৃটেনে সংক্রমণের ছবিটাও প্রায় একই রকম। সে দেশে এক দিনে করোনা-আক্রান্ত এক লক্ষ ১৯ হাজার বাসিন্দা। এই নিয়ে পর পর দু’দিন দৈনিক সংক্রমণ এক লক্ষের গণ্ডি ছাড়াল। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বৃটেন। এ দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক লক্ষ ৪৭ হাজার ৭২০ জনের।
আরআই