একশ’ দেশকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র সম্মেলনের আহ্বান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আমন্ত্রণ পায় পাকিস্তান, ভারত, মালদ্বীপ এবং নেপাল। আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ। তবে এ সম্মেলন প্রত্যাক্ষান করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ খবর জানায় ইসলামাবাদ সরকার।
গত কয়েকদিন অভ্যন্তরীণভাবে শলাপরামর্শ করার পর পাকিস্তান সরকার এ সিদ্ধান্ত জানালো। পাক পররাষ্ট্র দপ্তর ওই বিবৃতিতে জানায়, ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগের রয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতে সুবিধামতো সময়ে এসমস্ত নিয়ে আলোচনা করা যাবে।’
বিশ্বের ১০০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মার্কিন প্রশাসন এই সম্মেলনে রাশিয়া ও চীনকে আমন্ত্রণ জানায়নি। যার কারণে সম্মেলনটি গিরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
সম্মেলনে যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক জোটের অংশ হতে ইচ্ছুক নই। বরং আমেরিকা ও চীনের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে চাই।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানী ইসলামাবাদের এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় ইমরান খান আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি নতুন স্নায়ু যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে। বিভিন্ন জোট গড়ে উঠছে। এ ধরনের জোট গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো উচিত। কারণ আমাদের কোনো জোটের অংশ হওয়া ঠিক হবে না।’
আমেরিকা ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার শীতল যুদ্ধের কারণে বিশ্ব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ‘এ কারণে পাকিস্তান নতুন কোনো ফাঁদে পা দিতে চায় না। একই কারণে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার অচলাবস্থায় পাকিস্তান পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছে। সে প্রচেষ্টায় দুই দেশই ইসলামাবাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছে।’
আরআই