টানা ২য় জয়ের দেখা পেল চট্টগ্রাম টাইগার্স। প্রথমে ব্যাট করে ১৯০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে মেহেদী হাসান মিরাজ বাহিনী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের খুলনা। ফলে ২৫ রানের দুর্দান্ত জয় পায় চট্টগ্রাম।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য ছিল খুলনার অনুকূলে। খুলনার আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করে চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার লুইস ও উইল জ্যাকসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে চট্টগ্রাম। ৯ বলে ২৯ রানের জুটি ভাঙে। ১৭ রানে জ্যাকসকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান কামরুল ইসলাম রাব্বি।
১৭ রান করে জ্যাকসের বিদায়ের পর ১৪ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন আরেক ওপেনার লুইস। ব্যাট করতে নামা আফিফ হোসাইন রান আউট হয়ে ১৫ রান করে সাঝঘরে ফেরেন।
চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন। ঝড়ো ইনিংস খেলার পথে নাভিন উল হকের শিকার হয়ে ৩০ রান করে বিদায় নেন মিরাজ। দুই ওভার পরেই থিতু হয়ে থাকা সাব্বির বিদায় নেন ৩২ রানের ইনিংস খেলে।
ম্যাচের শেষদিকে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন বেনি হাওয়েল ও নাঈম ইসলাম। হাওয়েল ২০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। নাঈম দুই ছক্কায় ৫ বলে ১৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে শেষ বলে বিদায় নেন। ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯০ রান।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনার ওপেনাররা। প্রথম দুই ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম ৯ রান ও রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। এরপর দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান ও আন্দ্রে ফ্লেচার। তবে মাথায় আঘাত পেয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রানের মাথায় মাঠ ছেড়ে বিদায় নিতে হয় ফ্লেচারকে।
এরপর ব্যাটিংয়ে নামা মুশফিককে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি মেহেদী। ৩০ রান করে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। মেহেদীর বিদায়ের পর মুশফিকও উইকেট হারান ১১ রান করে। ফ্লেচারের কনকাশন-সাব বদলি হিসেবে নেমে ১২ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস বিদায় নেন সিকান্দার রাজা। শেষদিকে দলের হয়ে একাই লড়াই চালিয়ে যান ইয়াসির আলী। ২৬ বলে ৪০ রান করে তার বিদায়ের পর স্বপ্ন ভাঙ্গে খুলনার। ১৬৫ রানে থামে মুশফিকুর রহিমের দল।
আরআই