ফাইল ছবি
ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছেন দেশের সব্বোর্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আর আগে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের যে রায় ছিল, সেটাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে এ রায়ের মাধ্যমে সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সরকার নির্বাচন বর্তমানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অধীনেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। এর দুই বছর পরে এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন তিন আইনজীবী। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট এ রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট বিভাগ । সেই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয় । এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারী পক্ষ। সেই আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয় ২০১১ সালের ৩০ জুন। ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হয়।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। এরপর ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আলাদা আবেদন করেন।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে