মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তাদেরকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ মামলার বাকি আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় তাকে এ দন্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা পৌনে একটার দিকে ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে মামলাটির রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। মূল রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। চব্বিশের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা এটাই প্রথম মামলা।
মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ-১ প্রমাণিত হওয়ায় তথা উসকানি, মারণাস্ত্র, ড্রোন, হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশসহ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের দায়ে শেখ হাসিনাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ-২ তথা চানখারপুলে ছয় হত্যা ও আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ-২ এর দায়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সরকার পতনের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে