গুরুদাসপুরে সরকার পরিবর্তনের পর জমি জবরদখল

সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ, গুরুদাসপুর
৩০ অক্টোবর ২০২৫

নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকার পরিবর্তিনের পর রেজাউল করিম শাহ নামের এক লোকের ৪১ শতাংশ জমি জবরদখল করা হয়েছে। প্রতিপক্ষ স্থানীয় চামেলী বেগম তার স্বজনরা জমিটি দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এ জমি নিয়ে মামলার রায়ে প্রতিপক্ষের সব স্থাপনা অপসারণ করে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে জমি বেহাত হয়ে  বেহাত হওয়ায় ফের আইনের দারস্থ হয়েছেন তিনি।  

বৃহস্পতিবার (৩০অক্টোবর) নাজিরপুরে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রেজাউল করিম। সেই সংবাদ সম্মেলন রেজাউল করিমের দেওয়া তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

রেজাউল জানান, ২২ বছর আগে গোপিনাথপুর মৌজার ৬২৭ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ৭৭ নম্বর দাগের একর ৭৪ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ ওমর আলী তার স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার পিতা রজব আলী। সে মামলায় ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে রায় দেওয়া হয়। রায় তার বাবার পক্ষে আসে। এরপর রায় অনুযায়ী, প্রতিপক্ষের সব স্থাপনা অপসারণ করে জমিটি তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের জমির ৪১ শতাংশ জবরদখলসহ সেখানে ঘর নির্মান শুরু করে। বাধা দেওয়ায় কাজ না হলে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নাটোর আদালতে পুনরায় মামলা করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, প্রতিপক্ষ ওমর আলী মারা যাওয়ার পর তার ছোট মেয়ে চামেলী বেগম, তার স্বামী আব্দুর রহমান, তাদের ছেলে সুজন সোহাগ, জামাই সেন্টু জমি দখল নিয়ে নিয়েছে।   জমিতে গেলে তারা প্রাননাশ করার হুমকিও দিচ্ছে। তিনি জমিটি ফিরে পেতে জবরদখলে জড়িতদের শাস্তির জন্য  প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।

অভিযুক্ত চামেলী বেগম জানান, জমি ফিরে পেতে তারা আদালতে রিট পিটিশন করছেন। রেজাউল শাহ সম্পর্কে তার চাচা। তাদের কোন জমিজমা নেই। অন্যায় জেনেও বাধ্য হয়ে ঘর নির্মান করছেন।

নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব আলী জানান, বছর আগে আদালতের রায়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জমির প্রকৃত মালিক রজব আলীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।  বর্তমানে ওই জমি পুনরায় কারা দখল করছে বা ঘর নির্মান করছে, সেটা তার জানা নেই।

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর