ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ প্রিয়ারলাইনস কেউই এড়াতে পারে না। কেননা সিএএবি এ কার্গো ভিলেজের মালিক। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকৃত পণ্যের তত্ত্বাবধায়ক। আর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হলো হ্যান্ডলিং এজেন্ট। সংবেদনশীল এ স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কেউই মনোযোগ দেয়নি। অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ব্যবসায়ী সমাজ ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য এক বড় সতর্কবার্তা। ব্যবসায়ীরা যেমন শঙ্কিত এবং তেমনি বৈদেশিক ক্রেতারাও উদ্বিগ্ন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানায় এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে। কিন্তু অগ্নিকান্ডের ঘটনা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে- কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর নয়। এটা নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অনেক বছর ধরে রপ্তানিকারকরা বলে আসছে- তাদের পণ্য ও মালামাল যে খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। শুধু তাই নয় প্রায়ই আমদানিকৃত মালামাল চুরি হয়। এটি শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণ নয়। বরং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে