মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ ৮০ ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ অক্টোবর ২০২৫

জলবায়ু ঋণের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গড়ের চেয়ে তিন গুণেরও বেশি পরিমাণ মাথাপিছু ঋণ রয়েছে বাংলাদেশের। মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ প্রায় ৮০ ডলার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে এ দেশের মানুষ। অন্যদিকে, গড় আয়ু বছর কমে যাচ্ছে বায়ু দূষণের কারণে। এমন পরিস্থিতিতে জলবায়ু বিতর্কে প্রাকৃতিক সুরক্ষার বিষয়টি আনতে হবে। বেঁচে থাকতে অক্সিজেন এবং ন্যূনতম পানির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলতে হবে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় তথ্য জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, বিশ্বের ৫৫টি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য একটিজলবায়ু ঝুঁকি ঋণ সূচক তৈরি করেছে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ। সূচকের ভিত্তিতে বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় নিজেদের ঋণ-ঝুঁকির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করতে পারবে বিভিন্ন দেশ। উন্নত উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে জলবায়ু আলোচনায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশের সংস্থা কর্তৃক প্রস্তুত করা সূচকটি।

সভায় আরও জানানো হয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্র দশমিক শতাংশের জন্য দায়ী হচ্ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো। অথচ এর ৭০ শতাংশ ক্ষতির প্রভাব পড়ছে এসব দেশের ওপর। ওদিকে জলবায়ু তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৯৫ শতাংশই ঋণ, মাত্র শতাংশ হচ্ছে অনুদান।    ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলো সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বোঝা নিজেরাই ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো।

ঋণ মওকুফের দাবি জানিয়ে সভায় বলা হয়, বিষয়ে এখনই কাজ শুরু করা দরকার। জলবায়ু তহবিলের আরও উৎস খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক ব্যাংকগুলোকে একটি আর্থ-সলিডারিটি তহবিল তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে দূষণের জন্য কার্বন কর আরোপ করতে হবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর