গত সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় প্রায় ১৭ কোটি ৫৩ লাখ ডলার কম, শতাংশের হিসাবে সেটার পরিমাণ ৪ দশমিক ৬১। যদিও চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর- প্রান্তিক এ তিন মাস রপ্তানি আয় গতবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
রোববার (৫ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র রপ্তানির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যমতে, গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৩৮০ কোটি ২৮ লাখ ডলারের বেশি। গত অর্থবছরের প্রান্তিক তিন মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রান্তিক সময়ে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ২৩১ কোটি ডলারের পণ্য।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে রপ্তানি কমেছে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ, কৃষি পণ্যে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং প্লাস্টিক পণ্যে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। বিপরীতে এ সময়ে রপ্তানি বেড়েছে প্রকৌশল পণ্যে ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, কার্পেট ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং হিমায়িত মাছ ১২ দশমিক ১ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাব দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এর প্রভাবে বেশির ভাগ ক্রেতাই নতুন কোনো ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন না। এখন অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক্যাল শুল্কের একটি অংশ বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয় এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চাপে থাকায় এ অতিরিক্ত চাপ রপ্তানিকারকদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমেছে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এ ধীরগতি আগামী দুই থেকে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে, রপ্তানি পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছেন তারা।
বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে