রাস্তার পাশে বটের চারা রোপণ যেন হাফিজুলের নেশা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জুলাই ২০২৫

গত ফেব্রুয়ারি থেকে রাস্তায় বটের চারা রোপণ শুরু করেছেন হাফিজুল আলম চৌধুরী। এরপর থেকে এখন পযন্ত প্রায় দেড় শতাধিক বটবৃক্ষের চারা রোপণ করেছেন। ঢাকার ধোলাইপার মোড় থেকে দয়াগঞ্জ পযন্ত অংশে এসব গাছ লাগানো হয়েছে।

হাফিজুল আলম চৌধরী বর্তমানে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে ঢাকা জজ কোর্টে কাজ করছেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, এসিআইসহ চারটি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।

বটবৃক্ষ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানান তিনি। সেই সঙ্গে গাছ কেন লাগাতে শুরু করেছেন তার কারণও বলেন। হাফিজুল বলেন, ছোট বেলা থেকেই গাছ রোপণ শখ, পছন্দ। তিনি মনে করেন গাছের চারা কেনার টাকা আর রোপনের জন্য নিজের জায়গা না থাকলেও কেবল ইচ্ছা শক্তি থাকলে গাছ লাগানো যায়। আর এটার উত্তম উদাহরণ হচ্ছে বটবৃক্ষের চারা ও রাস্তার পাশে, সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা। অক্সিজেনের জন্য আমাদের সবারই গাছ লাগানো উচিত।  

গাছপ্রেমিক হাফিজুল আলম চৌধুরী জানান, বটবৃক্ষের প্রজনন কৃত্রিমভাবে হয় না। পাখির মাধ্যমে এর প্রজনন ঘটে। একটা প্রাপ্ত বয়স্ক বটবৃক্ষ দীর্ঘদিন বাঁচে । সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- অন্য সব গাছ রাতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। কিন্তু বটবৃক্ষ রাত-দিন দুই সময়েই অক্সিজেন সরবরাহ করে। এ কারণেই আমি বটবৃক্ষ রোপনের সিদ্ধান্ত নেই।

গাছ রোপণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পযন্ত রোপণ করা ১৩০-১৪০টি  চারার মধ্যে কিছু চারা নষ্ট হয়ে গেছে, মারা গেছে। এসব মানুষই নষ্ট করেছে। কিছু মানুষ হয়তো না বুঝেই চারার উপর দিয়ে চলাফেরা করেন, কেউবা চারা তুলে ফেলেন। গাছের প্রতি মানুষের এমন আচরণ তাকে পীড়া দেয়। তাছাড়া অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।

 

বটের চারা সংগ্রহ প্রসঙ্গে জানান, ফজরের নামাজের পর আমি চারার সন্ধান ও সংগ্রহের জন্য বের হয়। যেহেতু এ চারা পরিত্যক্ত জায়গায় পাওয়া যায়। তাছাড়া এটা নিয়ে কাজ শুরু করার পর এখন আমার চোখে সহজেই এ চারা ধরা পড়ে। দুর হলে রিকশা নিয়ে যাতায়াত করি চারা সংগ্রহ ও রোপণের ক্ষেত্রে। সময় পেলে সকালে চারা রোপণ করি। না হলে বিকালে পেশাগত কাজ শেষ হলে রাত আট পযন্ত চারা রোপণ করি। আল্লাহ সামর্থ দিলে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে গাছ রোপণের প্রকল্প হাতে নেওয়ার ইচ্ছ আছে তার।

হাফিজুল আলম চৌধুরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বিশানিয়া গ্রামে। সেই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান চৌধুরী তার বাবা।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর