তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’সংশোধনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন খসড়ায় একটি ধারায় বলা হয়েছে, তথ্য পেতে বাধা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে তথ্য কমিশন। বর্তমানে প্রচলিত আইনে জরিমানার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তৈরি করা আইনের খসড়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত চাওয়া হয়েছে। পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য সম্প্রতি খসড়াটি অনলাইনে উন্মুক্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। যে কেউ এ বিষয়ে মতামত দিতে পারবেন। খসড়ায় ৪টি ধারা- ৫, ৬, ৭ ও ২৭ সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এ চারটি সংশোধনী মূলত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব থেকে এসেছে।
সংশোধনী খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, কোনো কর্তৃপক্ষ এদিকে যেমন তথ্য গোপন করবে না, অন্যদিকে তথ্য পাওয়ার সহজলভ্যতাকে সীমাবদ্ধ করবে না। প্রস্তাবিত বাজেট, প্রকৃত আয় ও ব্যয় এবং অন্যান্য আর্থিক তথ্য, সম্পূর্ণ অডিট প্রতিবেদন এবং মূল্যায়ন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া, দরপত্র আবেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের মানদণ্ড এবং ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, চুক্তির অনুলিপি, চুক্তির প্রতিবেদন এবং এ-সংক্রান্ত সরকারি তহবিলের অন্যান্য ব্যয়ের বিষয়ে তথ্য গোপন বা তথ্য পাওয়ার সহজলভ্যতাকে সীমাবদ্ধ না করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে খসড়ায়।
খসড়ায় বলা হয়েছে- প্রতিটি সংস্থার জন্য বরাদ্দ করা বাজেট, পরিকল্পনা, প্রস্তাবিত ব্যয় এবং মঞ্জুর করা অর্থ বিতরণের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। প্রতি বছর প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট তথ্য সম্বলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
বর্তমান প্রচলিত আইনের ২৭ ধারায় বলা আছে, কেউ তথ্য প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে- এমন কাজের তারিখ থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে তথ্য কমিশন। খসড়ায় বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২৫০ টাকা হারে এবং সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। অপকর্ম বা দুর্নীতি আড়াল করতে তথ্য প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হলে জরিমানা আরোপ বাধ্যতামূলক হবে।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে