টানা দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে হতাশা বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। গেল সপ্তাহে সূচকের পতনের মধ্যদিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন টাকার পরিমাণে বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। এ দুই পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৮ মে) ডিএসইর বাজার মূলধন ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যেখানে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১২৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অন্যদিকে সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ কোটি ১০ লাখ টাকায় দাঁড়ায় বাজার মূলধন। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৫২৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
একইভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই এক্স ১৫.৬৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯০২ পয়েন্টে, ডিএসই-৩০ সূচক ২.৪৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২০ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৯.৯১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমই এক্স সূচক ৭.৪৪ পয়েন্ট কমে ৯১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গেল সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ৪১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে গেল সপ্তাহে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৩৭টির। আর শেয়ার লেনদেনই হয়নি ২৩টি কোম্পানির।
অপরদিকে সিএসইতে গেল সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১.৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭০৩ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। মোট ৩০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ২৮টির।
বিডি২৪অনলাইন/ইএন/এমকে