গেল এপ্রিল মাসেও দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত – ১০ মাসে মোট ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

ঈদ ঘিরে সাধারণত রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেশি দেখা যায়, কিন্তু এবার ঈদের পরও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এর প্রমাণ হচেছ গেল এপ্রিলের প্রবাসী আয়। এ মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ একক মাস হিসেবে দেশের ইতিহাসে এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গত মার্চ মাসে একক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসে, পরিমাণে ৩২৯ কোটি ডলার। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে, ২৬৪ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর অর্থপাচারের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এতে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে বেড়েছে রেমিট্যান্স আহরণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৯১২ কোটি মার্কিন ডলার।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় থাকায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। দেশের ইতিহাসে ২০২২ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল রিজার্ভ । এরপর সেখান থেকে প্রতি মাসে কমতে–কমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের আগের মাস গত জুলাই শেষে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়।  পরবর্তীতে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৭৪১ কোটি ডলার বা ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।  আর প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার উঠেছে।

বিডি২৪অনলাইন/এনই/এমকে