দেশের সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ তৈরির জন্য বিভিন্ন অংশীজনের লিখিত মতামত ও প্রস্তাব নেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এছাড়াও এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত ও প্রস্তাব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী মঙ্গলবার থেকে এ ওয়েবসাইট চালু হবে। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তার ঠিকানা জানানো হবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের লিখিত মতামত এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর কথা বলা হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে না কমিশন। বিভিন্ন কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে সরকার।
সংস্কার কমিশনের প্রধান আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রতিটি লিখিত প্রস্তাব ও মতামত পর্যালোচনা করবে কমিশন। কমিশনের সুপারিশে তার যথাসাধ্য প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট থাকা হবে। কমিশন এ পর্যায়ে সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, সিভিল সোসাইটির সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, পেশাজীবী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, তরুণ চিন্তাবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করবে এবং তাদের কাছে থেকে লিখিত প্রস্তাব আহ্বান করবে।
তিনি জানান, সংবিধান সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আলী রীয়াজ।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে