২০১৯ সালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের বাগদহ গ্রামের তোয়াবুর রহমানের সাথে বিয়ে হয় মরিয়ম বেগমের। প্রায় চার বছরের একটি মেয়েও আছে তাদের। এরই মধ্যে আক্রান্ত হন স্তন(ব্রেস্ট)ক্যান্সারে। শুরুতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও পরে খরচ যোগান দিতে না পেরে তাকে বাবার বাড়িতে রেখে যান তার স্বামী। এখন বাবার বাড়িতে মেয়েকে মানবেতর দিনানিপাতের পাশাপাশি মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মরিয়ম বেগম।
মরিয়ম পঞ্চগড় পৌর তুলারডাঙ্গা এলাকার মোস্তফা-ফুলজান বেগম দম্পতির মেয়ে। মেয়ের এমন পরিস্থিতি আর সংসার পরিচালনা নিয়ে চোখে অমানিশার ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে তাদের।
জানা যায়, গত কয়েকমাস আগে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে মরিয়মের স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থাভাবে থমকে গেছে তার চিকিৎসা। তীব্র যন্ত্রনায় দিন-রাত বিছানায় কাতরাতে হচ্ছে মরিয়মকে।
মরিয়মের বাবা আব্দুল মজিদ রিকশা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করতেন। গত বছর মসজিদের জন্য বাজারে টাকা তুলতে গেলে সড়ক দূর্ঘটনায় পা ভেঙে যায় তার। ভাঙা পা নিয়ে কোনো মতে জীবনযাপনের জন্য মাঝে মাঝে অটোরিকশা চালান তিনি।
মরিয়মের বাবা মোস্তফা জানান, গত কয়েকমাস ধরে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে আসতেছি। এখন আর কুলায় উঠতে পারছি না। চিকিৎসা করাবো কিভাবে? বর্তমান নিজেও চলতে পারছি না। খুবই অসহায় মনে হচ্ছে চোখের সামনে মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে।
নিরুপায় মরিয়ম ও তার অসহায় পরিবার সুচিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতর আকুতি জানিয়েছেন। মরিয়মের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম ০১৭৯৯৬৩০৫৫৯। এ নম্বরে তার বিকাশ ও নগদ একাউন্ট চালু আছে।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে