ভয়ঙ্কর হতে পারে ডেঙ্গু

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ এপ্রিল ২০২৪

 

ডেঙ্গু এখন প্রায় সারা বছরের রোগে পরিণত হয়েছে, সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷ এবার বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায়ে এ বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ও রোগীর মৃত্যুর হার দ্বিগুণেরও বেশি৷  এ অবস্থায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে  ঈদের পর থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দিতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)

ঢাকাসহ দেশের ৯টি জেলায় এডিস মশার উচ্চঘনত্ব দেখা গেছে৷ এসব জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের চেয়েও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেলাগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, নরসিংদী, গাজীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও মাদারীপুর। ওই জেলাগুলোতে শীতকালেও এডিস মশার ঘনত্ব ১০-এর উপরে৷ এটা হিসাবটা গেল মার্চ মাসের৷

এদিকে এবার আগাম বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ তাতে ধারণা করা হচ্ছে ডেঙ্গু এবার অনেক প্রকট হবে৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত বছর প্রথম তিন মাসে ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা যায়৷ এবছরের প্রথম তিন মাসে সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২ জন। গত বছর প্রথম তিন মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৮৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী৷ এবার এ সময়ে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭০৫ জন৷ গতবছর জুড়ে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় এবং মারা যায় এক হাজার ৭০৫ জন৷

ওদিকে গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু মোকাবেলা করতে চায় স্বাস্থ্য বিভাগে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহঙ্গীর আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কৃত্রিম সংকট মোকাবিলায় চাহিদার চেয়ে বেশি স্যালাইন উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন৷ তাই উৎপাদন বাড়াতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ সব হাসপাতালে এখন থেকে স্যালাইন কিনে মজুত রাখতে হবে৷ ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ) চিকিৎসার জন্য প্ল্যাজমা ও রক্তক্ষরণ প্রতিরোধী ওষুধ আমদানির বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে৷

ডেঙ্গুর মৌসুম মার্চ থেকে অক্টোবরকে ধরা হয়৷ এ সময়ে সারাদেশে প্রতি মাসে স্যালাইনের চাহিদা থাকে প্রায় ৫০ লাখ লিটার৷

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভার পাশাপাশি চেতনতামূলক র‌্যালি করবে প্রতিটি ওয়ার্ডে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সম্প্রতি জানান,  এ বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বেশি জরুরি। এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে, সেজন্য নিজেদের ঘর বাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড-এগুলোতে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর