পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় সৈয়দা আনোয়ারা বেগম নামের এক বিধবার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা হচ্ছে। দখলে বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আইনের শরণাপন্ন হলেও থেমে নেই দখলদারদের অপতৎপরতা। সেখানে নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল নির্মাণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদাররা।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। নিজের জমি অবৈধভাবে দখলের প্রতিবাদে ও এ ঘটনার প্রতিকারের আশায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দা আনোয়ারা জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার দ্বারিয়াপাড়া নিজামাবাদ মৌজায় তার প্রয়াত স্বামীর কেনা এক একর ২০ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতক জমি এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। বাকি ৭০ শতক জমি ওই এলাকার আলম হোসেন নামে এক চাষিকে বর্গা দেওয়া হয়। জমিতে কিছু ফলজ ও বনজ গাছ ছিলো।
তিনি জানান, ২০২২ সালের ১৩ জুন জাহাঙ্গীর আলম রানা নামের এক ব্যক্তি নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজের পরিচালক পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জমিটি দখল করেন। পরে জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে মাটি ভরাট করতে থাকেন। বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত ওই জমির স্থিতিবস্থার ওপর কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেন। এরপর কিছুদিন তারা চুপচাপ থাকে।
তিনি জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আবারো তারা মাটি ভরাট শুরু করে। বাধা দিতে গেলে সৈয়দা আনোয়ারার ছোট বোন মরিয়ম ইয়াসমিন সেলিকে মারধর করতে যায় জাহাঙ্গীর আলম রানার লোকজন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরদিন পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন তারা।
সৈয়দা আনোয়ারা বলেন, নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজের পরিচালক পর্ষদকে জমির মালিকানার স্বপক্ষে আমার সব কাগজপত্র দিয়েছি। তাদের আইনজীবীরা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার জমি সঠিক আছে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু তারপরও তারা জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা কিছুই করতে পারছি না। তারা নিজেরাই সমঝোতার আশ্বাস দিলেও সমঝোতায় বসেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন মতামত নাই বলে জানান নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রানা।
বিডি/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে