দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের সবর্ত্র এখন চলছে আলোচনা, চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিএনপিসহ সমমনা বেশ কয়েক দল নির্বাচনে না আসার ঘোষণায় অনড় থাকায় সব দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিদেশিরা সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের কথা বলছে। নির্বাচন ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতিও আরোপ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশিদের চাপ এ নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিদেশিরা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। বিদেশিদের তৎপরতা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নই আমরা।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ সদুপদেশ দিলে অবশ্যই সেটা গ্রহণ করা হবে। তবে অবান্তর-অবাস্তব প্রস্তাব দিলে সেটা গ্রহণ করা হয় না। আগেও কেউ ভালো প্রস্তাব দিলে সেটা গ্রহণ করেছি।
এ দেশের মানুষের পরিপক্কতা, বিচার করার ক্ষমতা আছে। তাদের দল ও সরকার দেশের, জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। বিদেশিদের জন্য কাজ করে না- বলেন মন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন গণমাধ্যম গুরুত্ব দেওয়ায় বিদেশিরা এ দেশের বিষয়ে লাফালাফির সুযোগ পায়। তার কথায়, আপনারা (গণমাধ্যম) তাদের (বিদেশিদের) যত সুযোগ দেবেন, তারা তত সুযোগ পাবে লাফালাফির। আপনারা কম পাত্তা দিলে তাদের লাফালাফি কমে যাবে।
তফসিল ঘোষণার পর দেশে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহার করে নির্বাচনে আসার আহবান জানান তিনি। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা এ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টায় ব্যস্ত, তাদের আমরা শিক্ষা দেব। আমরা অবশ্যই নির্বাচনে জয় লাভ করবো।
বিডি/এন/এমকে