চাকরির জন্য প্রতিবেশি দম্পতিকে ১৩ লাখ টাকা দিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ফেরদৌসি খাতুন নামের এক নারী। চাকরি ও টাকা ফেরত না পাওয়ায় এখন চোখে শর্ষে ফুল দেখছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার নিজের বাড়িতেই সংবাদ সম্মেলন হয়। ফেরদৌসি খাতুন উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত দম্পতি হচ্ছে সোহেল রানা ও তার স্ত্রী কলি খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লেখাপড়া শেষ করে বাড়িতে বেকার হয়ে বসেছিলেন ফেরদৌসি খাতুন। এ অবস্থায় অভিযুক্তরা উপজেলা সদরের বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজে ল্যাব সহকারী পদে তার চাকরির ব্যবস্থা করার প্রলোভন দেখায়। এজন্য ১৫ লাখ টাকা লাগবে বলে তাকে জানায়। পরে দুই দফায় তাদের হাতে ১৩ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। নিজের বাড়ি বন্ধক রেখে ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে এ টাকা সংগ্রহ করেন ভুক্তভোগীসহ তার পরিবার। কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি বা টাকা কোনটাই না দিয়ে গালিগালাজ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অভিযুক্তরা।
অভিযুক্ত সোহেল মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে ও আমার স্ত্রীকে ফাঁসাতে এসব মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।’
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. মনোয়ারুজ্জামান জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে