টান টান উত্তেজনার ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শেষ বলে দরকার ছিল একটি ছক্কার মারের। শেষ বলে ব্যাটে ছিলেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলী। আর বোলিং প্রান্তে ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাটারকে ছয় হাঁকাতেই দিলেন না। সিঙ্গেল নিয়ে কেবল ব্যবধানটা কমালেন। ফলে ৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল কুমিল্লা। এ জয়ের মাধ্যমে টানা ৫ জয় পলে কুমিল্লা। অপর পক্ষে টানা দুই হারে মূলপর্বে খেলার সমীকরণটা কঠিন হলো খুলনার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার টস জিতে প্রথমে কুমিল্লাকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বি। খুলনার আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেটে ১৬৫ রান করে কুমিল্লা। লিটন দাস ও রিজওয়ানের ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৫ রান। রিজ ওয়ান ১৭ বলে ১৫ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে এ জুটি। তবে অন্যপ্রান্তে ৪১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন। ৯টি চারের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। অর্ধশতক পূর্ণ করার পর ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় হন তিনি।
লিটনের শুরু করা মিশন পূর্ণ করার দায়িত্ব নেন জনসন চার্লস। ব্যাট হাতে খুলনার বোলারদের ওপর চড়াও হন। ক্যারিবিয়ান এ ব্যাটার ২২ বলে ৩৯ রান করে বিদায় নেন। ৫ ছয়ের মারে সাজানো ছিল তার এ রানের ইনিংসটি। চারে নামেন পাকিস্তানের খুশদিল শাহ। ১১ বলে ১৩ রান করেন তিনি। খুলনার নাহিদুলও ওয়াহাব রিয়াজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
কুমিল্লার ছোড়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা। মাত্র ১১ রানেই ফেরেন তামিম ইকবাল। তামিমের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার অ্যান্ডি বালবির্নি রক্ষনাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৮ রান করে তিনিও আউট হন। তার ধীর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে দলের চাপ আরো বেড়ে যায়।
তিনে নামেন শেই হোপ। তিনি ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। তবে কুমিল্লার বোলারের কাছে পরাস্ত হন। ১৩ বলে ২৬ রান করে বিদায় হন এ ব্যাটার। এরপর দ্রুত আজম খান ও সাইফউদ্দীন ফিরে গেলে আরও চাপে পড়ে খুলনা।
সেখান থেকে হোপকে নিয়ে শেষদিকে একাই চেষ্টা চালিয়ে যান খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির। হোপ ৩৩ রান করে আউট হয়ে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত একাই লড়াই করেন ইয়াসির। ১৯ বলে ৩০ রান করে ইয়াসির অপরাজিত থাকলেও অবশ্য জয়ের হাসি এনে দিতে পারেনি খুলনার ভক্তদের মুখে।
আরআই