দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধ করেছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

৩১ মার্চ ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকে নিরাপদ,আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে  কাজ করে যাচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ১২ তলা ভবন ‘বিজয় একাত্তর’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।

রাজধানী ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। বিচার বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,  তার সরকার বিচার বিভাগের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করতে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। বিচার বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতে এবং সংবিধানের কার্যকারিতা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশজুড়ে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি ‘ল ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার সারাদেশের আইনজীবীদের জন্যে আরও ভালো ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে, যেরকম ৬৪টি জেলা আদালতের সবকটির আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আইনজীবীদের জন্যে বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণ করেছে। যারা বিচার চাইতে অপারগ তাদের আইনি সেবা দিতে ‘দ্যা লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অ্যাক্ট- ২০০০ প্রণয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করতে সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের সরকার দায়মুক্তির সংস্কৃতি চালু করে। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও স্বামীর পথ অনুসরণ করেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের কারণে তখন— এমনকি তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের জন্যে একটি মামলা দায়ের করতেও পারেননি। কিন্তু তার সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জনগণকে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে মুক্তি দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দীন বক্তব্য দেন।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর