ভাড়া ও উৎপাদন খরচ বাড়বে

৩১ মার্চ ২০২২

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহসাই শেষ না হলে বাংলাদেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে পরিবহনের ভাড়া ও কৃষি উৎপাদন খরচ বাড়বে। গম আমদনির ক্ষেত্রকেও প্রভাবিত করবে এ যুদ্ধ। তাছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে বুধবারের (৩০ মার্চ) প্রশ্নোত্তর পর্বে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি করেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে পণ্যবাহী জাহাজের ভাড়া ও বিমান মাশুল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ববাজারে গত ৯ বছরের মধ্যে প্রতি ব্যারেল  তেলের দাম এখন সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ যে দামে জ্বালানি তেল কিনে নিজেদের বাজারে বিক্রি করছে এখন, তাতে প্রতিদিন ১৫ কোটি ডলারের ওপর লোকসান গুনতে হচ্ছে।

মন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানান, বাংলাদেশ প্রতি বছর ৫০ লাখ টন ডিজেল, ১৩ লাখ টন অপরিশোধিত তেল, ২ লাখ টন ফার্নেস অয়েল এবং ১ লাখ ২০ হাজার টন অকটেন আমদানি করে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খুব বেশি গম আমদনি না করলেও বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির কারণে সরবরাহ প্রভাবিত হবে।

রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থাকা বাংলাদেশের সংস্থাগুলোকে তাদের মূল্য পরিশোধের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু ব্যাংককে বৈশ্বিক আন্তঃব্যাংক লেনদেন সংক্রান্ত সুইফট সিস্টেমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করলে মাঝপথে আটকে যেতে পারে। এ অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভর নাও হতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২০১৮ সালে  রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রুবলের বদলে ডলারে ঋণের অর্থ নিতে চাওয়ায় এ ঋণের টাকা আসছে প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক হয়ে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা এ লেনদেনে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চলমান প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন এবং ঋণ পরিশোধের বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে- যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর