সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হবে। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইভিএমে এখনো পুরোপুরি আস্থাভাজন হতে পারেনি। তাই এ বিষয়ে সময় নিতে চায় তারা। পর্যালোচনা, প্রয়োজনে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সবার আস্থা অর্জন করতে চায়। ইভিএমের বিষয়ে আস্থা অর্জন করতে না পারা আর আস্থা অর্জন করতে চাওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার (২৪ মে) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন সিইসি। এসময় চার অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার- আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কারচুপি রোধে ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে স্থানীয় সরকারের কিছু নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু করে আগের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর শুরু থেকেই বিতর্ক দেখা দেয় এ প্রক্রিয়া নিয়ে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনকে প্রহসনে রূপান্তর করার কোনও ইচ্ছা ইসির নেই। তারা চান সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থ ধারা অব্যাহত থাকুক। ইভিএম প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, তারা পাঁচটা মিটিং করেছেন। কিন্তু পুরোপুরি আস্থাভাজন হতে পারেনি। আরও মিটিং হবে। আগামীকালও (বুধবার) কারিগরি মিটিং হবে। আরও কয়েকটি বৈঠকে আলাপ-আলোচনার পর ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, মাত্র পাঁচ-সাতদিন আগে চিঠি দিয়ে সবাইকে জানানো হয়েছে- ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি ইসি, কোনও চাপের মুখেও মাথানিচু করছে না তারা। ভোট তার নিয়মানুযায়ী হবে। দিনের ভোট দিনেই হবে, ভোট রাতে হবে না- এটা স্পষ্ট করে বলতে চায় তারা।
এমকে