কমেছে ব্যাংকঋণ প্রবৃদ্ধি

১৪ জানুয়ারী ২০২১

দেশে ৬০টির বেশি তফসিল ব্যাংক কার্যক্রম চালালেও বেসরকারি খাতে কমেছে ব্যাংকঋণের প্রবৃদ্ধি। গত এক বছরে সবগুলো ব্যাংক মিলে এক লাখ কোটি টাকাও ঋণ বিতরণ করতে পারেনি, বিতরণ করেছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি খাতে  ঋণ কমের মানে হলো- বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়ন কমে যাওয়া। এতে কর্মসংস্থান ও সাধারণ মানুষের আয়ও কমে যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনাকালে বিনিয়োগ হচ্ছে না বলেই ঋণ বিতরণ কম।  ফেরত আসার নিশ্চয়তা সম্পন্ন খাতেই কেবল ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে,২০২০ সালের নভেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ২০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। এক বছর আগে ২০১৯ সালের এই সময়ে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। গত নভেম্বরে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে  ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত নভেম্বর শেষে দেশে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে  ঋণ বিতরণ করা হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। সরকার নিয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের নভেম্বর শেষে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ১৬ হাজার ২০২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে  বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সরকারের ঋণ ছিল এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই হিসাবে গত নভেম্বর শেষে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি ঋণের ২৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বেসরকারি খাতে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ।

এমআই


মন্তব্য
জেলার খবর