এক বছরের মধ্যেই চালু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন

২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আগামী ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক এতে অংশ নিতে পারেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও থাকছে এ সুযোগ। নির্ধারিত হারে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন ‍সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রথমে ঐচ্ছিক ও পরবর্তীতে বাধ্যতামূলক সবারই একটি পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকবে, সেখানেই চাঁদা জমা দিতে হবে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী জানান,  এ ব্যবস্থাটি সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারেও এটা ছিল। ইশতেহার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এখন এটা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার,  সবার মতামত নিয়ে বিধিমালা, আইন একসঙ্গেই প্রণয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এটা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ লাভবান হবে। শেষ বয়সে যখন কেউ দেখার থাকবে না, তখন এ পেনশন ব্যবস্থা কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

অর্থমন্ত্রী জানান, জমাদানের নির্ধারিত চাঁদা আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে। একজন নাগরিক কত টাকা দেবেন এবং  বিনিময়ে সরকার তাকে কত টাকা দেবে- সেটা পেনশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।

অর্থমন্ত্রী  বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি নাগরিকের একটি পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকবে। ফলে চাকরি পরিবর্তন করলেও অ্যাকাউন্টটি অপরিবর্তিত থাকবে। দেশের জন্য মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদা নির্ধারিত থাকবে। আর প্রবাসীরা চাঁদা দিতে পারবেন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে। নির্দিষ্ট সময়ে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে সাময়িক বন্ধ থাকবে অ্যাকাউন্টটি। পরবর্তীতে জরিমানাসহ বকেয়া দিলে সেটা চালু হবে।

অর্থমন্ত্রী জানান, পেনশনের নির্ধারিত বয়স ৬০ পূর্ণ হলে নির্ধারিত হারে পেনশন পাওয়া যাবে। আর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পাওয়া যাবে পেনশন সুবিধা। তবে চাঁদা দানকারী ৭৫ বছর হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে তার নমিনি পেনশন পাবেন। নমিনি পাবেন ৭৫ বছর পর্যন্ত।

মন্ত্রী জানান, চাঁদা জমাকারীর অবর্তমানে এককালীন টাকা তোলার কোনও সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পেনশনের ৫০ ভাগ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে। কোনও জমাকারী ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর মৃত্যুবরণ করলে  তার নমিনিকে জমাকৃত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তিনি জানান, পেনশন কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য ব্যয় সরকার নির্বাহ করবে। আর কর্তৃপক্ষ বাজেটে নির্ধারিত টাকা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যয় করবেন।

এমকে

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর