আজ রোববার থেকে দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে চলবে বিচার কার্যক্রম।তবে করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন আরোপিত বিধি-নিষেধ থাকা এলাকার বিচারালয়ে শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন নেই, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরি দরখাস্ত শুনানি করা যাবে। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় আদালতে পক্ষদের উপস্থিতির আবশ্যকতা না থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন। জামিন শুনানি এবং আমলি আদালতে ধার্য তারিখে কারাগারে থাকা আসামিকে আদালতে হাজির করার আবশ্যকতা নেই। বিচারিক কর্মঘণ্টার প্রথম ভাগে (সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত) সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক,আপিল বা রিভিশন বা রিভিউ শুনানি এবং দ্বিতীয় ভাগে (দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত) জামিন সংক্রান্ত বিবিধ মামলা, জামিনের দরখাস্ত ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তসহ অন্যান্য দরখাস্ত শুনানি চলবে। এ ছাড়া বিচারালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের জারি করা বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত ১১ এপ্রিল থেকে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুধুমাত্র জামিনের শুনানি চলছিল।
এমকে