দেশে পুলিশ কোনো কিলার ফোর্স হতে পারে না। রাইফেলের মতো যেসব অস্ত্রের গুলিতে মানুষ মারা যেতে পারে, সেগুলো ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে পুলিশকে। পুলিশের কাছে বড়জোর শটগান থাকতে পারে। এসব নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১৪ পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
এর আগে ১২ মে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় পুলিশের হাতে ‘মারণাস্ত্র’থাকবে না। সভা শেষে বিষয়টি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কাছে অস্ত্র থাকবে। তাদের কাজের ধরণ একটু আলাদা। পুলিশ তাদের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দেবে।
পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সরকার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিষয়টা, সেটি হচ্ছে মৃত্যু নিশ্চিত হয় যে অস্ত্রের গুলিতে যেমন- রাইফেল। এগুলো এভয়েড করা হবে। আর্মামেন্টেরিয়াম(অস্ত্রাগার) নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব আমরা।
আইজিপি বলেন, যেসব জায়গায় বা বিশেষ জায়গাগুলোতে বিদ্রোহ হয় বা বিদ্রোহী থাকে, সেসব জায়গায় পুলিশের কার্যক্রমটা ভিন্ন হয়। স্বাভাবিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কাছে যেন লিথাল ওয়েপন (প্রাণঘাতি মারণাস্ত্র) না থাকে। পুলিশের কাছে নন লিথাল ওয়েপন থাকাটা সমর্থন করে বিশ্ব।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে