নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলামের দুর্নীতি, অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে এলাকাজুড়ে পোষ্টার সাটানো হয়েছে। এদিকে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (১৩মে) দুপুরে সরেজমিনে চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষকের দেখা পাওয়া যায়নি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার অনুপস্থিতির বিষয়টি জানেনও না।
সাটানো পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সরকার এমদাদুল হকের স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানতের ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজের পুত্রবধু ববিতা খাতুনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া কারিগরি শাখায় আনোয়ার হোসেন, জাহিদুল ইসলাম,মাজেদ আলীকে নিয়োগ দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার বাণিজ্য করেছেন। হাজেরা খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার, নিলুফা খাতুনকে প্রমোট শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ৪০ হাজার টাকা পকেটে তুলেছেন।
সাটানো পোস্টারের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জাকির,রেনু খাতুন,রানা,শিবলু,গুলশানসহ আরা ৫ জনের কাছ থেকে ২৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তাদের কারোই চাকরি হয়নি। এদের মধ্যে ভুক্তভোগী জাকির ও গুলশান আরা নিয়োগ বা টাকা ফেরৎ না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাটোর আদালতে মামলা করেছেন।
বিদ্যালয়ে ল্যাব চালু থাকলেও শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেন না প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকদের প্রাপ্য টিউশন ফি বুঝিয়েও দেওয়া হয় না। এসব কথাও পোস্টারে প্রকাশ করা হয়েছে। পোষ্টারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, সচেতন জনগণ, অভিভাবকদের দৃস্টি আকর্ষণ করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সাটানো পোষ্টারে তাকে জড়িয়ে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে, সেসব মিথ্যা ও ভিক্তিহীন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, বিষয়টি শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের নজরে এসেছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে