দেশে করোনা উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে ঈদ-উল-ফিতরের জামাত বিকল্প পদ্ধতিতে আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সঙ্গে ঈদ জামাত কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে উন্মুক্ত জায়গায় আয়োজন করা যায়, সেই বিষয়টিও লক্ষ রাখতে বলছে মসজিদ সংশ্লিষ্ট আলেম-ওলামাদের।মঙ্গলবার (১১ মে) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এ পরামর্শ দেন।
মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ঈদ জামাত পরবর্তী সময়ে প্রচলিত একটা রীতি হচ্ছে- কোলাকুলি করা কিংবা হাত মেলানো। সেটাও কিন্তু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ। সুতরাং এক্ষেত্রে ঈদের সময় কোলাকুলি না করে, হাত না মেলানো- সেই বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশে বিরাজমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে ঈদ সামনে এসেছে, সেটাকে যদি আমরা ঘরের মধ্যে সীমিত আকারে পালন করি; তাহলে আমাদের জীবনে আরো অনেক ঈদ উপভোগ করার সুযোগ আসবে। তা না হলে যেভাবে সংক্রমণ ছড়ায়, উন্নত দেশ পর্যন্ত রোগীর চাপ নিতে পারছে না। দেশের প্রস্তুতিরও কিন্তু সব সময় একটা সীমাবদ্ধতা থাকবে। সেদিক থেকে রোগীর সংখ্যা যাতে কোনোভাবে বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের ঈদের এ যাত্রা বন্ধ করে নিজেদের ঘরের মধ্যে থেকে ঈদ উদযাপন নিজেদের মধ্যে যাতে সীমাবদ্ধ রাখি, সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানাবো।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা।
এমকে