পথে থাকছে আক্রান্তের আশঙ্কা

১০ মে ২০২১

এগিয়ে আসছে ঈদ-উল-ফিতরের দিন। তাই করোনার বিস্তার রোধে সরকার আরোপিত চলমান বিধিনিষেধের (‘লকডাউন’) মধ্যেও যে কোনোভাবেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠছে শহরে বসবাসরত সাধারণ মানুষ। পথে করোনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরুত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোয় আক্রান্তের আশঙ্কা বেশি সৃস্টি হচ্ছে। আর পথে আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য সদস্যসহ পড়শিদের আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকবে আরো বেশি। পথে আক্রান্তের এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আশঙ্কার পাশাপাশি উদ্বেগও প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।নিজেসহ পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে তাই সরকার প্রধানসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর ঈদে বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন সবাইকে।  

করোনা পরিস্থিতির আগাম সম্ভাব্য ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে প্রধানমন্ত্রীকে সবার উদ্দেশে বলেছেন, প্রত্যেকে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ করুন। একটা ঈদ বাড়িতে না করলে কী হয়? রোববার (৯ মে) পূর্বাচল প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের প্লট বুঝিয়ে দেয়ার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন তিনি। এসময় সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট এসেছে, যেটা আরও বেশি মারাত্মক। এ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতরা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। যে কারণে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, পাশের দেশে এ ভাইরাস আক্রমণ করেছে। আর প্রতিবেশি আক্রান্ত হলে তা থেকে দূরে থাকা কঠিন হয়ে যায়। তাই সবাইকে বলবো, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ করুন। কেননা বাড়ি যাওয়ার পথে কে ভাইরাস বহন করছেন, কে করছেন না তা আমরা কেউ জানি না। কাজেই বাড়ি যাওয়ার পথে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  যাওয়ার পথে আপনি ভাইরাস বহন করে নিয়ে যেতে পারেন আপনার পরিবারের কাছে। এতে আপনার মা-বাবা ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।  নিজে সুরক্ষিত থেকে অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে।

এদিকে একই দিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন,  ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে মানুষের রাজধানী থেকে গ্রামের পথে ছুটে যাওয়া এবং পথে সৃষ্টি পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও আশঙ্কাজনক। গাদাগাদি করে যদি মানুষ এভাবে ভ্রমণ করতে থাকে, তাহলে ঈদের পরে যে কোনো সময়  খারাপের দিকে চলে যেতে পারে পরিস্থিতি। এ আশঙ্কা আমাদের আছে। আর আছে বলেই বিধিনিষেধের ওপর বার বার জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তিনি বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে শনাক্ত হয়েছে। সারাদেশেই এ নিয়ে সংশয় ও উদ্বেগ রয়েছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দেখা উচিত।

 

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর