ক’দিন পরে দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। চলমান ‘লকডাউন’ এ খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। এ সুযোগে করোনা ভীতি উপেক্ষা করে রাজধানীসহ সারা দেশে প্রিয়জন আর পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকেটায় নামছে মানুষ। বলা যায় কেনাকাটায় পুরোটাই উপেক্ষিত হচ্ছে করোনার স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করে দাঁড়ানোয় উবে গেছে সামাজিক দুরুত্ব, মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার থুতনির নিচে থাকছে সেই মাস্ক। ফলে করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে আশঙ্কা নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে।
শুক্রবার (৩০) রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কাঙ্খিত পন্য কিনতে এক শপিংমল থেকে অন্য শপিংমলে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এ সংকটময় সময়েও অনেকটাই নিশ্চিন্তে ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা। একজনের দেখাদেখি অন্যজন শপিং করতে বাড়ির বাইরে বের হতে উদ্ভুদ হচ্ছেন। অনেকে শপিংমলগুলোতে ঘুরতে বেরিয়েছেন। দেখছেন- নতুন কী কী কাপড়চোপড় কিংবা জিনিসপত্র এসেছে। ভিড় বাড়ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ভিড় বেশি থাকলেও বিক্রি কম হচ্ছে। ক্রেতাদের অনেকেই পন্য দেখছেন মাত্র। কিন্ত ক্রেতাদের ঠিকই পন্য দেখাতে হচ্ছে।
এদিকে সরকারের তরফ থেকে বার বার বলা হচ্ছে জীবন বাঁচাতে আগে। দোকানপাট খুলে দিলেও জুড়ে দেয়া হয়েছে করোনার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার শর্ত। এর আগে দোকানপাট মালিক সমিতিও করোনার বিধি মেনে দোকান খুলে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল। পুলিশের আইজিপিও বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই অবশ্যই মুখে মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু কে শোনে কার কার কথা। কেনাকাটার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে না- করোনা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা খুব একটা উদ্বিগ্ন। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয় শপিংমলের মালিক কিংবা ব্যবসায়ীদের কোনও তৎপরতাও উল্লেখযোগ্য নয়।
এমকে