প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন ও নানাবিধ আর্থ সামাজিক কারণে দেশের কোন নাগরিক যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ প্রণয়ন করেছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত বানীতে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস্ব জনগণকে বিনা খরচে সরকারি আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। মামলাজট হ্রাস করতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’র কেন্দ্রস্থল হিসেবে মামলার পক্ষগুলোর মধ্যে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করছে। উদ্ভুদ করোনা পরিস্থিতিতেও ডিজিটাল মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তার সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে চাই। এজন্য সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের ভয়-ভীতি ও বৈষম্য দূর করে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য ‘ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার’ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের সব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাসস।
এমকে