বৃষ্টি ছিল না অনেক মাস ধরে। ক’দিন ধরেই তেঁতে ওঠেছিল আবহাওয়া, গরমে কাহিল হয়ে পড়েছিল মানুষ; হাঁসফাঁস করছিল প্রাণীকূল। রোদে পুড়ছিল দেশ, উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে সবাই চাচ্ছিল- একটা বৃষ্টি দরকার। বৃষ্টির জন্য নামাজও হয়েছে। অবশেষে মধ্য বৈশাখের শুরুতে রাতে নামে বৃষ্টি। বাতাসের শো শো আওয়াজের সঙ্গে ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মানুষ।
যদিও পূর্বাভাসে আরো ক’দিন পরে বৃষ্টির আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। বলছিল, চলমান তাপপ্রবাহ থাকবে আরো ক’দিন। তার আগে বলছিল, দেশের প্রায় সব বিভাগেই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় স্বস্তির এ বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় মধ্যরাতের ঘণ্টাখানেক আগে। প্রথমে কম থাকলেও আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে বাতাসের গতি। শো শো আওয়াজ জানান দেয় কালবৈশাখীর। এরপর দমকা হাওয়াসহ কোথাও কোথাও শুরু হয় বৃষ্টি। ঢাকা ছাড়াও পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েক জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শ্রীমঙ্গল ও রাজারহাটে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবারও টাঙ্গাইল, বগুড়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্য এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৩৭ দশমিক ১, ময়মনসিংহে ৩৫ দশমিক ৩, চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৮, সিলেটে ৩৪ দশমিক ৮, রংপুরে ৩৪ দশমিক ১, খুলনায় ৩৬ দশমিক ৬, এবং বরিশালে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দিনাজপুর, শ্রীমঙ্গল, ফেনী, নোয়াখালী, রাঙামাটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ আগামী ২৪ ঘণ্টায় কমে আসতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এমকে