২৮ এপ্রিলের পর করোনার বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ থাকবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। চলবে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও। তবে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষের পর কোনটা কীভাবে হবে, কতটুকু হবে— ২৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এর বিষয়টি ওপরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে আর কঠোরতার প্রয়োজন পড়বে না।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মাস্ক না পরলে তার কাছে কেউ কেনাবেচা করবে না, মাস্কবিহীন কাউকে গণপরিবহনে তোলা হবে না— জনসচেতনতা এ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে সবাই ভালো থাকতে পারবো।
বিধিনিষেধের সঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় জড়িত উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলে এবং ঠিকমতো মাস্ক পরলে কঠোর অবস্থায় আসতে হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৪-২১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথমধাপে এ বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ধাপে আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল রাখা হয় এ বিধিনিষেধ। সবাইকে বিধিনিষেধ প্রতিপালনে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে। বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া ও গণপরিবহণসহ সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে জরুরি সেবা, পন্যবাহী যানবাহন ও কাঁচাবাজার এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। যদিও বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এমকে