কিছুদিন পরেই নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এর আগেই অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। গেল শুক্রবার ঢাকায় বিভিন্ন বাজারে পাইকারী প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩৮ থেকে ১৪৫ টাকা দরে ও খুচরা বাজারে ১৫০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই দিন ধরে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। গত বুধবারও ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ। পাইকারি দরেই এখন পেঁয়াজ ৫ হাজার ৮০০ থেকে ৬ হাজার টাকা প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ সংকটের কারণেই পুরোনো পেঁয়াজের দাম এমন চড়া হয়েছে। আর পাইকারি দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারে এর রীতিমতো প্রভাব পড়েছে। পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কিছুটা কমবে বলেও মনে করছেন তারা।
পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ এখনও বাজারে আসেনি। দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ‘চারা’ বের হচ্ছে, এ কারণে সেটার মানও খুব বেশি ভালো না। নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা কম।
পেঁয়াজের দর বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা বলছেন সরকারের এদিকে নজর দেওয়া দরকার। সরকার পেঁয়াজ আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
জানা গেছে, সাময়িক এ অস্থিরতা ঠেকাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে চাইলেও কৃষি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে আপত্তি জানায়। এ ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিরোধীতার পেছনে যুক্তি ছিল, নভেম্বরের মাঝামাঝিতেই নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। কিন্তু প্রক্ষেপণের প্রায় মাসখানেক সময় পার হলেও দেশি নুতন পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই বাজারে। তবে বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ অল্প পরিমাণে আসতে শুরু করেছে। এ পেঁয়াজও ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে