দেশে প্রথমবারের মতো একটি পৌরসভাসহ ৫০ ইউনিয়নকে ‘পানি সংকটাপন্ন’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব ইউনিয়ন রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও চট্রগ্রাম জেলার। পানি আইন, ২০১৩-এর অধীনে এসব ইউনিয়নকে অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় পানি আইন অনুযায়ী পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং গৃহস্থালি ও পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এক মাসের মধ্যে করণীয় নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হবে। একই সঙ্গে টাঙ্গুয়ার হাওর ও হাকালুকি হাওর সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ‘হাওর প্রতিবেশ সুরক্ষা আদেশ’ জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার গ্রিন রোডের ওয়ারপো ভবনে জাতীয় পানি সম্পদ পরিষদের নির্বাহী কমিটির ১৮তম সভায় ঘোষণা দেওয়াসহ এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জানানো হয়, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার মোট ২৫টি উপজেলার ২১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৭টি ইউনিয়নকে অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এসব এলাকায় মৌজা আছে ১ হাজার ৫০৩টি। ওদিকে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৩টি ইউনিয়নের ৭টি মৌজা এবং পৌরসভার ৫টি মৌজাকে অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে।
সভায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পানির প্রাপ্যতা যাচাইয়ে সমীক্ষা চালানোর সুপারিশ করা হয়। ৫০ জেলায় চলমান ভূগর্ভস্থ পানির প্রাপ্যতা যাচাইয়ের কার্যক্রম বাকি ১৪ জেলায় শুরু করারও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহিদীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে