গেল জুলাই মাসে সারা দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত ও এক হাজার ৩৫৬ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ৪১১ জন আহত হয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে আবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে বেশি। এতে হতাহতের মধ্যে ১৬৯ জন নিহত ও ১৪৪ জন আহত রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) যাত্রী কল্যাণ সমিতির এ তথ্য জানা যায়। গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এ তথ্য পেয়েছে সংগঠনটির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল। যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে, গেল মাসে ৫০৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর রেলপথে ৩৪টি ও নৌপথে ১৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলপথে দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৪১ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত হয়েছেন। এর বাইরে ৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গেল মাসে ১৬২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পরিমাণ মোট দুর্ঘটনার ৩২.০১ শতাংশ। বিভাগের মধ্যে এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়, এ বিভাগে ১২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত ও ২৯৫ জন আহত হয়েছেন। বিপরঢীতে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বরিশালে। এ বিবাগে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৯৫ জন আহত হয়েছেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশের সড়কের মধ্যে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, নসিমন-করিমন অবাধে চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা; সড়কে মিডিয়ান বা রোড ডিভাইডার না থাকা, সড়কে গাছপালায় অন্ধবাঁকের সৃষ্টি হওয়া; মহাসড়কের নির্মাণ ক্রটি, যানবাহনের ক্রটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রীবহন; বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানোর কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে