দগ্ধদের মৃত্যুর মধ্যে বেশিরভাগ শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ জুলাই ২০২৫

রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহতদের সংখ্যা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। বিধ্বস্তের ঘটনাটি অবশ্যই তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। আর আইন উপদেষ্টা আফিস নজরুল বলেছেন, আহতদের প্রয়োজন হলেও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই)  জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের  তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, শিশুদের বাইরে নিহত বাকি দুইজনের মধ্যে একজন পাইলট, অপরজন শিক্ষিকা রয়েছেন।

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, চিকিৎসার সব রকমের প্রস্তুতি আছে সরকারের।  এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ঘটনাটি তদন্তের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা । সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমরা আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। আমরা সবার কাছে অনুরোধ করছি, হাসপাতালে ভিড় করবেন না। কারণ আহতদের জন্য এটা ভালো না। তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের শক্তি নেই। ভিড় করলে আমাদের শরীর থেকে কি রোগ তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে- এটা বলা মুশকিল। কাজেই দূরে থেকে দোয়া করেন সবাই।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার মতো সারাদেশের লোক আজকে হতবাক। সারা জাতি বাকরুদ্ধ ও শোকাহত বললে খুব কম বলা হবে। এ রকম একটা কান্ড ঘটতে পারে, কেউ কল্পনা করিনি আমরা। কারো ধারণার মধ্যেও ছিল না। কিন্তু এ অবিশ্বাস্য ঘটনা হঠাৎ গ্রহণ করতে হয়েছে আমাদের। বহু শিশুর মৃত্যুতে সারা জাতি বাকরুদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আবেগঘন ওই ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আগুনে পুড়ে শিশুরা মারা গেল। মা-বাপদের আমরা কি জবাব দেব? কি বলবো তাদেরকে? আমরা নিজেদেরকে তো জবাব দিতে পারছি না।  

এ দুর্ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন,এখনো লাশ আসছে হাসপাতালে। এখনো হাসপাতালে মারা যাচ্ছে। মা-বাপ এখনো খোঁজ নিচ্ছে আমার সন্তান কোথায়? তাকে আর কোনদিন চেনা যাবে কিনা? যাদের লাশ দেখছি, তার মধ্যে আমার সন্তান আছে কিনা। পৃথক করার তো কোন উপায় নেই।

 

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর