এবার মুখে হাসি গুরুদাসপুরের পাটচাষীদের

সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ, গুরুদাসপুর
২২ জুলাই ২০২৫


চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে গতবছরের চেয়ে বছর পাটের আবাদ যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি অনুকুল আবহাওয়ায় ফলন বেশি হয়েছে। আর ফলনের সঙ্গে এবার দাম বেশি হওয়ায় কৃষদের মুখে হাসি ফুটেছে। চাষীরা পাটগাছ কাটা, পঁচানো, শুকানো পাটকাঠি সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বছর গুরুদাসপুরে ১৫ হাজার ৩শ চাষী তোষা দেশী জাতের পাট চাষ করেছেন।  আবাদের অধিকাংশই তোষা জাতের। এ বছর হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। গতবছর হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়।  সে হিসাবে গতবছরের চেয়ে এ বছর হাজার হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে।

 শহরের আনন্দ নগর মহল্লার কৃষক আবু সুফিযান, শ্রীপুরের ময়দান আলী, সাহাপুরের দুলাল হোসেন জানান- চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক, আগাছা পরিস্কার, কাটা, পরিবহন খরচ, জাগ দেওয়া, ধোয়া শুকিয়ে বাজারজাত পর্যন্ত  প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশে) ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবার।

 এবার প্রতি বিঘায় গড় উৎপাদন / মণ পাট। এ বছর পাটের দাম বেশি হওয়ায় বিঘায় থেকে হাজার টাকা লাভ হবে। এর সঙ্গে পাটকাঠি বিক্রির টাকা যুক্ত হলে প্রতি বিঘায় ১০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

চাঁচকৈড় হাটের পাট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর নতুন পাটের প্রতিমণ বাজার দর হাজার ৭০০ থেকে হাজার ৯০০ টাকা। গত বছর একই সময়ে দাম ছিল হাজার ৫০০ থেকে হাজার টাকা। গতবারের চেয়ে মণে বেড়েছে অন্তত হাজার টাকা। এ দামে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা .কে.এম রাফিউল ইসলাম জানান, গতবছরের চেয়ে পাচ চাষ বেড়েছে। একইসাথে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। দাম ভালো থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে অঞ্চলে পাটের আবাদ বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে

 



মন্তব্য
জেলার খবর