চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে গতবছরের চেয়ে এ বছর পাটের আবাদ যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি অনুকুল আবহাওয়ায় ফলন বেশি হয়েছে। আর ফলনের সঙ্গে এবার দাম বেশি হওয়ায় কৃষদের মুখে হাসি ফুটেছে। চাষীরা পাটগাছ কাটা, পঁচানো, শুকানো ও পাটকাঠি সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর গুরুদাসপুরে ১৫ হাজার ৩শ চাষী তোষা ও দেশী জাতের পাট চাষ করেছেন। আবাদের অধিকাংশই তোষা জাতের। এ বছর ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। গতবছর ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। সে হিসাবে গতবছরের চেয়ে এ বছর ১ হাজার হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে।
শহরের আনন্দ নগর মহল্লার কৃষক আবু সুফিযান, শ্রীপুরের ময়দান আলী, সাহাপুরের দুলাল হোসেন জানান- চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক, আগাছা পরিস্কার, কাটা, পরিবহন খরচ, জাগ দেওয়া, ধোয়া ও শুকিয়ে বাজারজাত পর্যন্ত প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশে) ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবার।
এবার প্রতি বিঘায় গড় উৎপাদন ৭/৮ মণ পাট। এ বছর পাটের দাম বেশি হওয়ায় বিঘায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা লাভ হবে। এর সঙ্গে পাটকাঠি বিক্রির টাকা যুক্ত হলে প্রতি বিঘায় ১০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
চাঁচকৈড় হাটের পাট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর নতুন পাটের প্রতিমণ বাজার দর ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা। গত বছর একই সময়ে দাম ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। গতবারের চেয়ে মণে বেড়েছে অন্তত ১ হাজার টাকা। এ দামে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম রাফিউল ইসলাম জানান, গতবছরের চেয়ে পাচ চাষ বেড়েছে। একইসাথে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। দাম ভালো থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে এ অঞ্চলে পাটের আবাদ বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে