গণনা ও তান্ত্রিকতার নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের সোনাহার ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সুকুমার চন্দ্র। তার খপ্পরে পড়ে নিজের জমানো টাকা খুঁইয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এভাবে আয়ে লাখপতির বনে গেছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে তার ব্যাপারে অভিযোগ হলেও ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। মূলত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম এমুর ছত্রছায়ায় থাকায় ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের পরেও তিনি এখনো আগের মতোই ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন। স্থানীয়দের কাছে থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ১০ বছর আগেও সুকুমারের বাঁশের বেড়া আর টিনের ঘর ছিল। এখন তার ঘরবাড়ি দেখলেই অনুমান করা যায়- প্রতারণার কারবার ভালোই জমে উঠেছে তার। দূরদূরান্ত থেকে নানা সমস্যা ও জটিল অসুখ নিয়ে যারা আসছেন, তাদের সমস্যাকে অনেক টাই জিম্মি করে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
লক্ষীরহাট এলাকার হরেন রায় বলেন, আমার কিছু সমস্যার জন্য সুকুমারের কাছে গেছি। সে তেমন কিছুই জানেন না। সংস্কৃত ভাষার লিখিত চাদর পরে গুটি কয়েক মন্ত্র দিয়ে মানুষের মগজ ধোলাই করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান টুটুল প্রধান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সোনাহার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সুকুমার কিভাবে এলাকায় ঘুরাফেরাসহ তার প্রতারনার ব্যবসা করছেন আমার বোধগম্য না।
সুকুমার চন্দ্র রায় বলেন, আমার বাড়িতে ভাংচুরের সময়ে পুলিশ আসে দেখে গেছে। আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত না। গণনা ও তান্ত্রিকতার নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার বিষয়ে বলেন, আমি মায়ের সেবক। মায়ের নাম করে মানুষের সেবা করি। ভালো হয় বলেই মানুষ আসে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোয়েল রানা জানান, আমরা জানি আওয়ামী লীগের লোকজন সবাই পলাতক আছে। সুকুমার এজাহারভুক্ত কোন আসামি না, তারপরও বিষয়টি দেখব। কেউ প্রতারনার ব্যবসা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে