পঞ্চগড়ের ৩৯ জন হজ্জ গমনেচ্ছুক ব্যক্তির কাছে থেকে ৮১ লাখ ৪১ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন হজ্জ এজেন্সি সান ফ্লাওয়ার এয়ার লিংকসের পরিচালক আব্দুল জলিল। এ ঘটনায় পঞ্চগড় আমলি আদালত-১ মামলা করেছে মোয়াল্লেম ওয়াছেদ আলী শাহ।
আব্দুল জলিল নোয়াখালী বেগমগঞ্জ লক্ষী নারায়নপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। রাজধানী ঢাকায় ৮৬ ইনার সার্কুলার রোড কাজী টাওয়ার তৃতীয় তলা নয়া পল্টন ঢাকা এজেন্সি অফিসের পরিচালক তিনি। তার এজেন্সি নম্বর ০২৬৩।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ওয়াছেদ আলী শাহ ২০১৯ সালে হজ্জ পালনের জন্য ৩৯ জন হজ্জ গমনেচ্ছুক ব্যক্তির কাছে থেকে ৮১ লাখ ৪১ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে রশিদমুলে অভিযুক্তের এজেন্সিতে পাঠান। কিন্তু তারা হজ্জে যেতে পারেননি। হজ্জ মৌসুমের সময় পার হলেও ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করলে অভিযুক্ত সময় ক্ষেপণ করেন। অন্য হজ্জ যাত্রীরা মক্কা নগরীতে হজ্জ পালনে গেলে অভিযুক্তের ছলচাতুরি বুঝতে পেরে মুসল্লিদের প্রদানকৃত টাকা ফেরত চান ওয়াছেদ আলী শাহ। পরে নিজের ভুল স্বীকার করে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হিসাব নম্বরে ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা করবেন বলে নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে জেলা প্রশাসকের কাছে অঙ্গীকারনামা দেন অভিযুক্ত এজেন্সি পরিচালক। কিন্তু সে সময় মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে ২০২০ সালের ৯ মার্চ সুবিচার চেয়ে আদালতে মামলা করা হয়। এদিকে এজেন্সির কারনে হজ্জ করতে না পারায় এবং গত পাঁচ বছরে বিচারিক কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা।
বাদির আইনজীবী মফিদুল ইসলাম বলেন, আসামী আব্দুল জলিল হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বর্তমান পলাতক আছে। পরবর্তী আদালতের কার্যক্রমের জন্য আসামীর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে